নিজস্ব সংবাদদাতা : চলতি বছরের কমনওয়েলথ গেমসে প্রথম অন্তর্ভূক্তি হয় মহিলা ক্রিকেটের। আর প্রথম বারই এই ইভেন্টের ফাইনালে ওঠে ভারত। ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। রুদ্ধ শ্বাস এই ম্যাচে ভারতকে ৯ রানে হার মানতে হল অজিদের কাছে। তবুও হরমন প্রীত-স্মৃতিদের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন গোটা দেশ বাসী। অবশ্য এই ম্যাচ বিশ্বের ক্রিকেট প্রেমী দের মনের অন্দরে থাকবে চিরদিন। কেন না এই ম্যাচেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মাঠে নেমেছিলেন টালিয়া ম্যাকগ্রা।
ফাইনাল ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ভারতের সামনে ১৬২ রানের টার্গেট খাড়া করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত গুটিয়ে যায় ১৫২ রানে। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন হরমন প্রীত নিজে। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৬৫ রান। আর অধিনায়ককে যোগ্য সহযোগিতা করলেন অপর ব্যাটার জেমাইমা। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৩৩ রান। অন্য দিকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুরন্ত ব্যাটিং করেন বেথ মুনি ও ল্যনিং।
মূলত এই দুজনের ব্যাটে ভর করেই অস্ট্রেলিয়া ১৫০ রান পার করে। ভারতীয়দের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেন অধিনায়ক হরমন প্রীত কাউর। তাঁর ব্যাট থেকেই আসে মূল্যবান ৬৫ রান। আর তাঁকে যোগ্য সহযোগিতা করেন জেমেইমা। তিনি করেন ৩৩ রান।
এতসবের মধ্যেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ম্যাচের আগে করোনা আক্রান্ত হয়েও টালিয়া কিভাবে মাঠে নামার অনুমতি পেলেন? অথচ কমনওয়েলথ গেমস শুরু হওয়ার আগে দুই ভারতীয় ক্রিকেটার করোনার কবলে পড়েছিলেন। তাঁরা কিন্তু পুরো সুস্থ হয়েই দলের সঙ্গে যোগ দেন।
CWG 2022 India কমনওয়েলথ গেমসে সোনা হাত ছাড়া ভারতের
Commonwealth Games India Badminton অল্পের জন্য সোনা হাতছাড়া সিন্ধুদের
More News – হকির ফাইনালে অজিদের কাছে হার ভারতের
গত টোকিও অলিম্পিকে সোনা হাতছাড়া হয়েছিল ভারতীয় পুরষ হকি দলের। তারপর জার্মার্নিকে হারিয়ে ভারতীয় দল জিতেছিল ব্রোঞ্জ। তাই চলতি বছরে কমনওয়েলথ গেমসকে পাখির চোখ করেছিলেন হরমনপ্রীতরা। কিন্তু তাঁদের সে প্রচেষ্টা ২০২২ কমনওয়েলথ গেমসেও অধরা থেকে গেল। অস্ট্রেলিয়ার কাছে একটা বা দুটো গোলে নয়, ৭-০ গোলে লজ্জার হার হারতে হল ভারতীয় পুরুষ হকি দলকে। তার ফলে সোনার বদলে ভারত পেল রুপো।
ম্যাচের শুরু থেকেই ভারতীয় রক্ষণভাগের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়াতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা। তার ফল স্বরূপ গোলও পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু রেফারির বদান্যতায় সেই যাত্রায় রক্ষা পায় ভারত। তাতে কি, এরপর ভারতের ওপর আক্রমণের আরও চাপ বাড়াতে থাকে অস্ট্রেলিয়া।