নিজস্ব সংবাদদাতা : CWG Badminthon ৮ আগস্ট ২০২২। ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশেষ দিন হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এই দিনেই চলতি বছরের কমনওয়েলথ গেমসে পর পর সোনা জয় করে চলেছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। প্রথমে সোনার পদক জয় করলেন শার্টলার পিভি সিন্ধু। তারপর মাঝে কয়েক ঘণ্টার বিরতি।
ব্যাডমিন্টনের সিঙ্গলসে ফের দেশকে সোনা এনে দিলেন শার্টলার লক্ষ্য সেন। সিন্ধু স্ট্রেট সেটে বিপক্ষকে হারালেও, লক্ষ্য সেনের সোনা জয় কিন্তু সহজে হয়নি। প্রথম সেটে বিপক্ষ মালয়েশিয়ার জে-ইয়ং-এর কাছে ১৯-২১ পয়েন্টের ব্যবধানে হারলেও দ্বিতীয় সেট থেকে কিন্তু নিজের ছন্দে ফিরে যান লক্ষ্য। এবং পর পর দুটি সেট ২১-৯ এবং ২১-১৬ ব্যবধানে হারিয়ে দেন ইয়ংকে।
এরপর আবার সোনা জয় ব্যাডমিন্টনের ডাবলসে। সাত্ত্বিক-চিরাগ জুটির কাছে হার মানলেন ব্রিটিশ শার্টলার লেন বেন এবং ভেন্ডি সিন জুটিকে। খেলার ফল ২১-১৫, ২১-১৩। তাঁদের এই জয়ে খুশি গোটা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁদের সোনা জয়ের জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন তাঁরা।
CWG Badminthon ব্যাডমিন্টনে সোনার হ্যাটট্রিক ভারতের
Long Jump Record : দীর্ঘ ৪৪ বছর ফের লংজাম্পে রুপো জয় ভারতের
More News – হকির ফাইনালে অজিদের কাছে হার ভারতের
গত টোকিও অলিম্পিকে সোনা হাতছাড়া হয়েছিল ভারতীয় পুরষ হকি দলের। তারপর জার্মার্নিকে হারিয়ে ভারতীয় দল জিতেছিল ব্রোঞ্জ। তাই চলতি বছরে কমনওয়েলথ গেমসকে পাখির চোখ করেছিলেন হরমনপ্রীতরা। কিন্তু তাঁদের সে প্রচেষ্টা ২০২২ কমনওয়েলথ গেমসেও অধরা থেকে গেল। অস্ট্রেলিয়ার কাছে একটা বা দুটো গোলে নয়, ৭-০ গোলে লজ্জার হার হারতে হল ভারতীয় পুরুষ হকি দলকে। তার ফলে সোনার বদলে ভারত পেল রুপো।
ম্যাচের শুরু থেকেই ভারতীয় রক্ষণভাগের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়াতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা। তার ফল স্বরূপ গোলও পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু রেফারির বদান্যতায় সেই যাত্রায় রক্ষা পায় ভারত। তাতে কি, এরপর ভারতের ওপর আক্রমণের আরও চাপ বাড়াতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। সেই অর্থে ফাইনাল ম্যাচে অজিদের তুলনায় ভারতকে দেখাল অনেকটাই ম্রিয়মান। ম্যাচের ৮ মিনিটে অজিদের হয়ে প্রথম গোল করেন গোভার্স ব্লেক।
প্রথম গোলের মিনিট ছয়েক বাদে আবার গোল। এবার গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ইফ্রামস। ২২ ও ২৭ মিনিটে জেকব অ্যান্ডারসন গোল করে ব্যবধান বাড়ান। খেলার প্রথমার্ধেই ৫-০গোলে পিছিয়ে পড়ে ভারত। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে অস্ট্রেলিয়া করে আরও দুটি গোল। ৪২ মিনিটে ইফ্রামস দলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান। এবং ভারতের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন উইকহ্যাম।