শর্মিলা চন্দ্র : আগামী ১ জুলাই রথে চড়ে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। গত দু’বছর করোনার অতিমারীর জেরে রথ যাত্রার আয়োজনে ছেদ পড়েছিল। তবে এবছর খুব ধুম ধামের সঙ্গেই গোটা দেশ জুড়ে পালিত হতে চলেছে রথযাত্রা (Ratha Yatra) । ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। রথের রশিতে টান দিলেই পুণ্যলাভ হবে। এই বিশ্বাসই চিরকালীন। দেশ জুড়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রথ যাত্রার প্রস্তুতি। রথযাত্রায় জগন্নাথদেবের রথের রশি একবার স্পর্শ করার জন্য ভক্তরা আকুল হয়ে থাকেন। পুরী, মাহেশ থেকে কলকাতায় ইসকনের রথ — সর্বত্রই রথের রশি ছুঁয়ে দেখার জন্য মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, জগন্নাথ দেবের রথের রশি স্পর্শ করলে পুনর্জন্মের কষ্ট সহ্য করতে হয় না।
রথযাত্রা উপলক্ষ্যে এখন চলছে শেষ মুহূর্তে রথ তৈরির কাজ। শেষ তুলির টান দিতেই এখন ব্যস্ত রয়েছেন শিল্পীরা। প্রায় ১২ বছর পর পুরীতে জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রায় থাকছে এবার নতুন রথ। নতুন এই রথ তৈরিতে হাত লাগিয়েছেন ওড়িশার আট কারিগর। আগামী ২৫ জুনের মধ্যেই তৈরি হয়ে হবে নতুন রথ। জানা গিয়েছে, এই রথের উচ্চতা ৩৬ ফিট। আগের রথের উচ্চতা ছিল ২০ ফিট। রথটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের উচ্চতা ২৬ ফিট। রথের প্রতিটি চাকার উচ্চতা ৪ ফিট করে। রথে থাকবে চারটি দরজা, চারটি ঘোড়া। মায়া পুরের ইসকন মন্দিরেও খুব ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয় রথযাত্রা।
Ratha Yatra : জগন্নাথ দেবের রথের চলছে শেষ পর্বের তুলির টান
FIFA : ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ফিফার নজির বিহীন সিদ্ধান্ত
কে কে-র মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের আবেদন মঞ্জুর কলকাতা হাইকোর্টের
মহিলাদের ডবলসে খেতাব জয় ক্যারোলিনা-ক্রিস্টিনা জুটির
পুরী, ইসকনের পাশাপাশি মাহেশের রথযাত্রাও উল্লেখযোগ্য। মাহেশের রথযাত্রা ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম এবং বাংলার প্রাচীনতম রথযাত্রা উত্সব। এই উত্সব ১৩৯৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরাম পুর শহরের মাহেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রথ যাত্রার সময় মাহেশের স্নান পিড়ি ময়দানে এক মাস ধরে মেলা চলে। সব মিলিয়ে রথযাত্রাকে ঘিরে ভক্তদের উত্সাহ থাকে তুঙ্গে।সেখানেও ভক্ত সমাগম চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি ইসকনের কলকাতা শাখা থেকেও রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। সেখানেও জগন্নাথ দেবের দর্শন করার জন্য দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে।