নিজস্ব সংবাদদাতা : টেনিসের অন্যতম সেরা টুর্নামেন্ট উইম্বলডন শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই টুর্নামেন্টে একের পর এক বাধা টপকে এগিয়ে চলেছেন রায়ান পেনিস্টোন নামের এক টেনিস খেলোয়াড়। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছেন গ্রেট ব্রিটেনের এই তরুণ। রায়ান অন্য খেলোয়াড়দের মতো সুস্থ নন। তাঁর শরীরে বাসা বেঁধে আছে মারণ রোগ ক্যান্সার। তবুও তাঁকে টেনিসের কোর্ট থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেনি।
উল্লেখ্য, রায়ানের শরীরে মারণ রোগের যে প্রজাতিটি ধরা পড়ে তার নাম রাবডোমিসায়ারকোমা। রায়ান এসব নিয়ে একদমই চিন্তিত নয়। তাঁর মতে, যতদিন আমি সুস্থ থাকব তত দিনই চেষ্টা করব র্যা কেট হাতে টেনিসের কোর্টে নামতে। রায়ান উইম্বলডনের মতো টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ফরাসি ওপেনে রানার্সআপ ক্যাসপার রুডকে হারিয়ে। নিজের রোগ সম্বন্ধে বলতে গিয়ে রায়ান বলেন, আমার সঠিক মনে নেই।
শুধু এইটুকু মনে আছে, যখন আমার বয়স মাত্র ১ বছর তখন আমার শরীরে বাসা বেঁধেছিল এই মারণ রোগ। ওই বয়সেই বেঁচে থাকার তাগিদে আমাকে নিতে হয়েছিল কেমোথেরাপিও। এরপর রায়ান আরও বলেন, আমি এসব নিয়ে এখন আর ভাবতেই চাই না। আমার সামনে একটাই লক্ষ্য, উইম্বলডনে ভাল পারফর্ম করে আমার পরিবারের মুখে হাসি ফোটানো।
Wimbledon 2022 : ক্যানসারকে সঙ্গী করেই উইম্বলডনের দ্বিতীয় রাউন্ডে রায়ান
Rohit Sharma : রোহিতকে নিয়ে বিস্ফোরক বীরু
More News – বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে উঠল খুনের অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা : জাতীয় কুস্তিগীর সুশীল কুমারের পর এবার সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে এল বীরেন্দ্র লাকরার নাম। বীরেন্দ্রর নামে অভিযোগ, তিনি তাঁর ছোটবেলার বন্ধুকে খুন করেছেন। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন মৃতের পরিবার। সূত্রের খবর, গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই খুনের ঘটনাটি ঘটে। তারপর ভুবনেশ্বরে লাকরার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় আনন্দ টপ্পো নামে বীরেন্দ্রর ওই বন্ধুর দেহ।
ঘটনার পর পরই বীরেন্দ্রর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় আনন্দ টপ্পো খুন হননি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু বীরেন্দ্রর পরিবারের আনা এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন আনন্দ টপ্পোর বাবা। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করেনি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনি নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে সিবিআই তদন্তও দাবি করেছেন। তিনি আরও দাবি করেন যে, তাঁর ছেলের খুনের ঘটনায় এক মহিলাও জড়িয়ে রয়েছেন।
আনন্দ টপ্পোর বাবার আরও অভিযোগ, এই ঘটনা যেদিন ঘটে তার মাত্র কয়েকদিন আগেই আনন্দ টপ্পোর বিবাহ হয়। এদিকে বীরেন্দ্র লাকরাও ছিলেন বিবাহিত। সূত্রের খবর, যে মহিলাকে নিয়ে এই দুজনের বিবাদ শুরু হয়েছিল তিনি ছিলেন বীরেন্দ্র লাকরার গার্লফ্রেন্ড। এরপর তাঁর অভিযোগের আঙুল ওঠে পুলিশের দিকেও।
তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ খুনের অভিযোগ নেওয়ার বদলে গোটা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। বীরেন্দ্র লাকরা জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দিয়ে টোকিও অলিম্পিকের আসরে ব্রোঞ্জ জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সেনানী ছিলেন। সোনা জয়ের পরই তিনি জাতীয় দল থেকে অবসর নেন। বর্তমানে বীরেন্দ্র ওড়িশা পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট পদে কর্মরত।